কৃষি বীমা বা শস্য বীমা কী?


    শস্য বীমা কী?

    জমির ফসল বা শস্য প্রায় সময়ই প্রাকৃতিক কারনে নষ্ট হয়ে যায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করা খুব কষ্ট হয়ে পড়ে। জমির শস্য ক্ষতি যেমন: বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, অতি বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, পোকার আক্রমণ নানা করনে হয়। এ সমস্যায় কভার হিসেবে আর্থিক সহায়তার জন্য যে বীমা করা হয়, তাই শস্য বীমা।



    শস্য বীমার গুরুত্ব

    বাংলাদেশের অর্থনীতির অনেকাংশই নির্ভর করে কৃষির উপর। তবে এই কৃষি প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল । প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কৃষি ফসলের অনেক ক্ষতি হয় বলে, এদেশে শস্য বীমার গুরুত্ব অনেক। কোন এলাকার ফসল নষ্ট হলে দেশের অর্থনৈতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সকল ক্ষতি কভারেজ নিয়ে কাজ করে শস্য বীমা। বাংলাদেশে প্রথম ১৯৭৭ সালে শস্য বীমার চালু হয়। প্রথম অবস্থায় শস্য বীমার আওতাভুক্ত ছিল ধান, পাট, গম ও ইক্ষু।




    শস্য বীমার উপকারিতা


    ১. শস্য বীমা শস্যের ক্ষতি বা দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষতি পূরণ করে থাকে তাই কৃষিতে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ অনেকটা নিরাপদে থাকে।

    ২. শস্যের ক্ষতি নিয়ে কৃষকের কোন দুশ্চিন্তা থাকে না। এর ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

    ৩. বীমা মানুষকে মিতব্যয়ী করে তুলতে সাহয্য করে। এবং সম্পদের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারে।

    ৪. শস্য বীমার আওতাধীন থাকায় গুদামজাত করন নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয় না।

    ৫. শস্য বীমার ফলে বিভিন্ন ঋণদান কোম্পানির থেকে সহজেই ঋণ পাওয়া যায়।

    ৬. শস্য বীমার মাধ্যমে প্রতিটি বীমার মত মূলধন গঠন করা যায়।

    ৭. শস্যের নিরাপত্তা থাকায় কৃষক আগ্রহী হয়। পন্য রপ্তানি করে দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়।




    বীমা যোজনা করার পদ্ধতি

    কৃষকেরা বীমা করার জন্য গ্রামের কিছু আগ্রহী কৃষক নিয়ে, শস্য বীমা কোম্পানির যেকোন প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করুন। 

    কৃষকদের যে নথির কপি দিতে হবে

    ১) এন আইডি কার্ড ফটোকপি 

    ২) আধার কার্ড ফটোকপি 

    ৩) নিজের নামে ব্যাঙ্কের পাস বই( ছবি )

    ৪) খতিয়ান/পরচা কপি

    Post a Comment

    2 Comments