নৌ-বীমা কাকে বলে? কয় প্রকার?


    নৌ-বীমা কাকে বলে?

    যে চুক্তির দ্বারা গ্রাহক বীমা কোম্পানি থেকে সমুদ্রযাত্রা বিষয়ক, সব বিপদের কভারেজ বা ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকে তাই নৌ- বীমা চুক্তি

    আমরা অনেকেই আছি যারা নৌ-ভ্রমন পছন্দ করি। কেননা নদী পথে ভ্রমনের মধ্যমে পাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করার পাশাপাশি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারি। তাছড়াও যানযটের কোন অসুবিধা না থাকায় নদী পথ জনপ্রিয়।

    এর পাশাপাশি বর্তমানে তৈরি হওয়া সকল বিলাসবহুল জাহাজ সকলেরই আকর্ষণ। এসকল জাহাজে খেলার মাঠ, দোকান-পাঠ, কেভিন, ঝিম সেন্টার সহ আরো অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।




    নৌ- ভ্রমনে সকল সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি ভয়ও রয়েছে। কেননা কম বেশি আমরা সবাই টাইটেনিক জাহাজের কথা জানি। নৌ-ভ্রমনে এই রকম ঝুঁকি থাকায় আমরা আনেকেই আতংকিত থাকি। 

    সমুদ্রে যাতায়াত করা জাহাজ, জাহাজের মধ্যে থাকা পণ্য, জাহাজে দুর্ঘটনা বিষয়ক সমস্যার ক্ষতির সাহায়তার যে চুক্তি করা হয়, তাই নৌ-বীমা। সর্বপ্রথম নৌ-বীমার চলুর মাধ্যমে বীমা ব্যবসার চালু হয়। 

    নৌ-বীমার কথা ভাবলে "এডওয়ার্ড লয়েডস" এর নাম সবার প্রথমে আপনার মনে পড়বে। 





    নৌ-বীমার শ্রেণিবিভাগ

    বিভিন্ন ধরনের নৌ-বীমা রয়েছে। প্রধানত নৌ-বীমা চার ধরনের। এই ৪ প্রকার নৌ-বীমা হল:

    ১) জাহাজ বীমা: জাহাজ বীমা মূলত জাহাজের নামে করা হয়। অর্থাৎ কোন দুর্ঘটনাবশত জাহাজের কোন প্রকার ক্ষতি হলে তার আর্থিক সাহায্য করবে বীমা কোম্পানি।


    ২) পণ্য বীমা: পৃথিবীতে মালামাল পরিবহনের সহজ মাধ্যম হল জাহাজ। তাই জাহাজের থাকা পন্যের কোন ক্ষতি হলে কোম্পানি তার কভারেজ প্রদান করবে।


    ৩) জাহাজ ভাড়া বীমা: পণ্যবাহী জাহাজে কোন পন্যের যে ভাড়া নির্ধারণ করা থাকে, পন্যের কোন ক্ষতি হলে কর্তৃপক্ষ নিধর্ধারিত সেই ভাড়া দেয় না। তাই নির্ধারিত ভাড়াপ্রাপ্তির সমস্যার সমাধানে আর্থিক সুবিধা পেতে জাহাজ মালিক যে বীমা করে তা হল জাহাজ ভারা বীমা। কোন কোন সময় সাগরে ঝড়ের জন্য পন্য ফেলে দিতে হয়।


    ৪) নৌ-দায় বিমা: সমুদ্রে যাতায়াতের সময় বিশেষ কোন ক্ষতির বিপরীতে যে কভারেজের চুক্তি করা হয় তাই নৌ-দায় বীমা। কোন শ্রমিক পণ্যের ক্ষতি করলে, শ্রমিকের ক্ষতি হলে এবং যাত্রাকালীন জাহাজের নিয়ম-কানুনের পরিবর্তন করলে যে ক্ষতি হয়, তার দায় জাহাজ মালিকের। কিন্তু নৌ-বীমা করলে এর ক্ষতিপূরণ বীমা কোম্পানি বহন করে।





    নৌ বীমার কেন প্রয়োজন

    জলদস্যুদের নাম আমরা সাবাই শুনেছি। আর লুটতরাজের কথাও সবার অজানা নয়। কিন্তু বর্তমানে জলদস্যুদের ঝামেলা না থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

    বর্তমানে নৌ-পথে প্রবল আকার ধারন করা প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেমন: ঝড়, তরঙ্গ, বিভিন্ন দুর্ঘটনার ফলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। যে কোন সময় জাহাজ ঢুবে যেতে পারে। এতে জাহাজের পন্যের পাশাপাশি নাবিকও সমুদ্রগর্ভে ঢুবে যেতে পারে। 

    তাই আধুনিক এই সময়ে নৌ-বীমার গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা নৌ-বীমার মাধ্যমে আমরা ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক সাহায়তা পাই। আমরা প্রত্যেকেই বীমা কোম্পানির বৈধতা জেনে নৌ-বীমা করব।

    Post a Comment

    0 Comments