Diet chart bd 2023-2024


    মেদ-ভুড়ি দূর করে স্বাস্থ্য ভাল করার সবচেয়ে ভাল উপায় ডায়েট। তবে মেদ-ভুড়ি দুর করার জন্য নিয়ম মেনে একটি নির্দিষ্ট সময় ডায়েট প্ল্যান ফলো করতে হবে। এই ডায়েট চার্ট এমন ভাবে তৈরি করতে হবে, যেন সকলের জন্য সহজ হয়। এবং ডায়েট প্ল্যানটি মেনে চললে দেহের ক্ষুধা মিটবে, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে এজন্য আপনাকে এটি অনেক দিন বা দীর্ঘমেয়াদী অনুসরণ করতে হবে। বলা যেতেই পারে অন্যান্য সকল উপায় অনুসরণ করার চেয়ে শরীর সুস্থ রাখতে ডায়েট প্ল্যান উত্তম।



    ভোর ৬টার সময়

    এক গ্লাস পরিমান হালকা গরম পানিতে ১ চা-চামচ পরিমান খাটি মধু ও এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। তবে মধু না থাকলে শুধু লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। এরপর স্বাভাবিক কাজ বা হালকা ব‌্যায়াম করে নিতে পারেন।




    সকাল ৮টার সময় সকালের নাস্তা

    সকালের খাবার হিসেবে খেতে পারেন এক প্লেট পরিমান ভাত বা ২টি মধ্যম সাইজের রুটি । এর সাথে খেতে পারেন এক বাটি পরিমান সবজি এবং ১টি ডিম, ২টি কলা, আপেল। তবে রাতে রুটি খেলে, সকালে অবশ্যই ভাত খেয়ে নিবেন। সবজির মধ্যে আলু ছাড়া অন্যান্য সবজি যেমন: লাউ, পেপে, চালকুমড়া, ছিম, ঢেড়স কিংবা বরবটি এ জাতীয় সবজি প্রতিদিন এক বাটি পরিমান খেতে পারেন।





    বেলা ১১ টার সময় 

    এসময় আপনি হালকা কিছু খেয়ে নিতে পারেন। তবে কিছু না খেলেও সমস্যা নেই। বাড়ির তৈরি করা সবজির রোল, পাউরুটি, এর সাথে গ্রিন টি। ফাস্ট ফুড খাওয়া ত্যাগ করুন।





    দুপুরের খাবার

    ১ প্লেট বা একটু বেশি পরিমান ভাত, ১ টুকরা মাছ সাথে তরকারি ঝোল কিংবা মুরগির মাংস ২-৩ পিস। সাথে ডাল খেতে পারেন। এর পাশাপাশি সালাত হিসেবে ১ বাটি বা ১টি শসা খেতে পারেন। সবজি ও ভাজি খেতে পারেন আধা বাটি পরিমান।




    বিকালের নাস্তা

    বিকাল ৪ টার সময় বিকালের নাস্তা করতে পারেন। মনে রাখতে হবে সকল প্রকার ফাস্ট ফুড ও মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। বিকালের নাস্তায় আপনি খেতে পারেন: সবজি, মুড়ি, বানানো নাস্তা বা অল্প একটু মুড়ি বা চিড়া বা খই, টক দই, কলা ইত্যাদি। টক দই এর সাথে চিড়া মিশিয়ে খেতে পারেন।




    রাতের খাবার বা ডিনার

    রাতের খাবার খাওয়ার উত্তম সময় হল ৮:৩০ মিনিট। রাতে ১প্লেট ভাত খাবেন বা ১টি রুটি খাবেন শাক ও ভাজি দিয়ে। তাছড়াও লালশাক, পুইশাক বা পালংশাক ও এজাতীয় খাবার খেতে পারেন।





    মনে রাখুন কয়েকটি টিপস:

    ১. মাংসের খাওয়া কমিয়ে নিন। নিয়মিত মাছ খেতে পারেন।

    ২. নিয়মিত ব‌্যায়াম করুন।

    ৩. পেপে, চালকুমড়া, লাউ অর্থাৎ সবজি খাওয়া বড়িয়ে ফেলুন। 

    ৪. খিদে পেলে অল্প পরিমানে খেয়ে নিন। এবং অল্প পরিমান কায়িক শ্রম করুন। 

    ৫. ফলমুল খেতে পারেন নাস্তার সময়। তবে পর্যাপ্ত পরিমানের চেয়ে বেশি ফল খাওয়া যাবে না।

    Post a Comment

    0 Comments