ভাতের মার ত্বক ও চুলে ব্যবহারের পদ্ধতি একনজরে জেনে নেয়া যাক

    ভাতের মাড় গোসলের জলে মিশিয়ে প্রতিদিন অন্তত ২ বার গোসল করতে পারলে ত্বকের অস্বস্তিকর ভাব ও চুলকানি হতে সহজেই মুক্তি লাভ সম্ভব।



    নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় সব ক্ষেত্রেই ফেলে দেয়া হয় ভাতের মাড়। ভাত ঝরঝরে করতে আমরা সকলেই ভাল ভাবে ভাতের মাড় ঝরিয়ে নেই। ঝরঝরে ভাতের চেয়েও আমরা শরীর ঝরঝরে রাখতে অনেক সময় নিয়ে মাড় ঝরিয়ে নেই। ভাতে মাড় যদি বসে যায় তা খাওয়ার পর  পেট ও শরীর যেমন ভার হয়ে যায় তেমন ভাবেই প্রতিদিন মাড় বসা ভাত খেলে মুটিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তবে ভাতের মাড় ভালভাবে ঝরিয়ে না দিয়ে সেটিকে ব্যবহার করতে পরেন নানা কাজে । ত্বক ও চুলের যত্নে উভয় কাজেই লাগাতে পারেন ভাতের মাড়। অবশ্যই মিলবে ম্যাজিকের মতো ফল। চলুন জানা যাক দৈনন্দিনের  বিভিন্ন কাজে ভাতের মাড়ের ব্যবহার...

    ১) ভাতের মাড় গোসলের পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন অন্তত ২ বার গোসল করতে পারলে ত্বকের অস্বস্তিকর ভাব ও চুলকানি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।

    ২) আপনার ব্রণ কি কিছুতেই কমছে না? ভাতের মাড় ভালভাবে ঠান্ডা করে তুলোর সহায্যে ত্বকের ব্রণ আক্রান্ত স্থানে লাগান। প্রতিদিন ২-৩ বার এই রকম করে ত্বকের যত্ন নিলে ব্রণ-ফুসকুড়ির মতো সমস্যা থেকে দ্রুত প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।

    ৩) ভাতের মাড় ভালভাবে ঠান্ডা করে তুলো দিয়ে মুখের ও হাত-পায়ের রোদে পোড়া স্থানে নিয়মিত দিতে পারলে বাড়বে ত্বকের জেল্লা। এই ভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ত্বক থাকবে অত্যান্ত সতেজ এবং থাকবে ত্বকের আর্দ্রতা। তাছাড়াও ত্বকের হাইপার পিগমেন্টেশন ও ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার ক্ষেত্রে ভাতের মাড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

    ৪) ভাতের মাড়ের সাথে পানি মিশিয়ে কিছুটা পাতলা করে নিন। শ্যাম্পু দেয়ার পর চুলে ভাতের মাড় দিয়ে কয়েক মিনিট রেখে ভাল করে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুলের গোড়া ফেটে যাওয়া মোকাবিলায় এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। তাছাড়া চুল গোড়া থেকে মজবুত করতে এই পদ্ধতি  সাহায্য করে। এটি চুুুল চকচকে করে তুুুুলে।

    ভাতের মাড় দেহের অপুষ্টিজনিত সমস্যার সমাধানে  অনেক উপকারী।

    Post a Comment

    0 Comments