Shortness of breath treatment


    সাধারনত ঠান্ডা থেকে সর্দি-কাশি হলে শ্বাসকষ্ট অনুভব হতে পারে। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু শ্বাস-কষ্ট বেশি মাত্রায় হলে তা থেকে মুক্তির জন্য দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে। তবে শ্বাস-কষ্ট হলে ঘরে বসে আমরা যেসকল পদক্ষেপ নিতে পারি নিচে তা দেয়া হল:



    ১. যদি আপনার শ্বাসকষ্ট থাকে তবে বসতে হবে সামনের দিকে একটু ঝুঁকে । যার মাধ্যমে মানবদেহে ক্লান্ত হয় না। এবং শরীর অনেকাংশেই বিশ্রামে থাকে। এতে শ্বাস নিতে সহজ হয়ে থাকে। কারন ঝুঁকে বসলে ফুসফুসে চাপ হয়। যার ফলে শ্বাস নিতে কোন কষ্ট অনুভব হয় না। এক্ষেত্রে পা মাটিতে রেখে শরীরের বাকি অংশ সামনের দিকে একটু ঝুকে রাখতে হবে। 


    ২. শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পেটের পেশিকে ব্যবহার করা। পেটের পেশি ব্যবহার করে আমরা কিভাবে শ্বাস গ্রহন করব। বিছানায় সোজা হয়ে শুয়ে পেটে হাত রেখে নাক জুরে শ্বাস নিতে হবে। কেনানা আমরা শ্বাস নেয়ার সময় কেবল পেট ফুলাই। এতে ফুসফুস পরিপূর্ণ কাজ করতে পারে না। তাই এ নিয়ম মেনে শ্বাস নিলে অনেকাংশেই শ্বাস-কষ্ট কমে যাবে।


    ৩. শ্বাস-কষ্ট নিরাময়ে ব্যায়ামের গুরুত্ব অনেক। শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে অনেক বেশি কার্যকরী এক্সারসাইজ। এই ব্যায়াম করতে প্রথমে কাঁধ একধমই রিলাক্স অবস্থায় রাখতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে নাক দিয়ে শ্বাস গ্রহণ করুন। এবং ৪-৫ সেকেন্ড সময় শ্বাস আটকে রাখুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে মুখ দিয়ে শ্বাস গ্রহন করা যাবে না। কিত্তু মুখ দিয়ে আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়তে হবে। রাখতে হবে। 


    ৪. স্টিম ইনহেলার নেওয়া শ্বাস-কষ্ট প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যখন নাকে ঘন শ্লেষ্মা জমা হয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত হয়, তখন স্টিম ইনহেলার গ্রহন করুন। স্টিম ইনহেলেশ হল ফুটানো গরম পানির ভাপ থেকে শ্বাস গ্রহন করা। যার ফলে নাক বন্ধ হয়ে থাকে না। শ্বাস নিতে কোন প্রকার কষ্ট অনুভব হয় না।


    ৫. ব্ল্যাক কফিতে হতে পারে শ্বাস-কষ্ট নিরাময়ে উত্তম মাধ্যম।ব্ল্যাক কফিতে বিদ্যমানতা রয়েছে ক্যাফেইন। যা খুব দ্রুত শ্বাসকষ্ট হ্রাস করে থাকে। যার ফলে শ্বাসনালিতে বিদ্যমান পেশি রিলাক্স থাকে। হাঁপানি উপষম করার ক্ষেত্রে ক্যাফেইন গুরুত্বপূর্ণ। 


    ৬. আদা অনেক অসুখ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। তেমনি শ্বাস-কষ্ট প্রতিরোধে আদা কাযর্করী। আদাতে রয়েছে বিশেষ উপকারী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি। যা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং প্রদাহ হ্রাস করে। আদা দিয়ে তৈরি চা পান করলে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়। 


    ৭. হলুদে আছে নানা উপকারী উপাদান। তার মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি শরীরকে সংক্রম থেকে রক্ষা করে থাকে। আর হলুদ এর সাথে মিশিয়ে দুধ পান করলে শ্বাসকষ্ট দূর হয়। নহিস্টামিন নিঃসরণ বন্ধ করতে হলুদে কারকিউমিন অত্যান্ত উপকারী।

    Post a Comment

    0 Comments