শিশু নিরাপত্তা বীমা কেন করবেন? কিভাবে?


    পোস্ট অফিসে বিমা করতে পারেন সন্তানের জন্য, কী সুবিধা?

    বীমা নিয়ে আমাদের অনেকেরই ভুল ধারনা রয়েছে। অনেকে ভাবি বীমা কোম্পানি টাকা দেয় না। আসলে এইখানে আমরা নিজেরাই ভুল করে থাকি। বীমা কোম্পানি কতৃক শর্ত না বোঝার কারনে আমরা এই রকম সমস্যায় পরি। তবে নির্দিষ্ট শর্ত বা চুক্তি অনুযায়ী প্রায় সব বীমা কোম্পানি টাকা ও সেবা দিয়ে থাকে। তাই আমাদের বীমা কোম্পানির সম্পর্কে ভালভাবে জেনে বীমা করতে হবে।



    Postal Insurance for Child

    পোস্টাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কে সংক্ষেপে বলা হয় PLI. দিন দিন মানুষ আধুনিক হচ্ছে, যার ফলে সভ্যতা অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। এবং এর সাথে সাথে বীমার চাহিদা ও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেননা বর্তমানে এইযুগে সব মানুষ বীমা সম্পর্কে জানে। ডাক বীমা বা পোস্ট অফিসের বীমা ১৮৮৪ সাল থেকে শুরু হয়েছে।


    প্রথম এই ডাক বীমা শুধু ডাক পরিষেবার কর্মীদের জন্য শুরু হয়েছিল। এটি মূলত একটি কল্যানমূলক প্রকল্প হিসেবে চালু করা হয়েছিল। পরে এটি বিভিন্ন ধাপে ধাপে পরিবর্তিত হয়ে বীমায় রূপান্তর হয়েছে। এটি প্রচীন বীমাগুলোর মধ্যে একটি।


    ১৮৮৪ থেকে ২০২২ সালে বীমার পরিধি ব্যাপক হারে বিস্তৃত হয়েছে। বর্তমানে সরকার ও বীমার দিকে মানুষকে যাওয়ার জন্য আহব্বান করছে।কেন্দ্রীয় এবং সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, স্থানীয় সংস্থা, সমবায় পর্যন্ত বীমার কভারেজ এর আওতাভুক্ত রয়েছে।




    শিশুদের জীবন বীমা নীতি 

    ১) এই বীমা পলিসিতে শিশুদের নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত কভার রয়েছে।


    ২) শিশু জীবন বীমার জন্য, যে সকল মা-বাবার শুধু দুইটি সন্তান রয়েছে তারা প্রযোজ্য হবে।


    ৩) মূলত ৫-২০ বছরের মধ্যে শিশুরা এ বীমার আওতাভুক্ত হবে।


    ৪) শিশু জীবন বীমায় ৩ লক্ষ টাকার সর্বোচ্চ পলিসি করা যাবে।


    ৫) মা-বাবার বয়স ৪৫ বছরের অধিক হলে, তাদের সন্তান শিশু বীমার করতে পারবে না। 


    ৬) শিশু বীমায় যদি অভিভাবকের মৃত্যু হয় সন্তানদের কোন প্রিমিয়াম দেওয়া লাগবে না।


    ৭) বীমার নির্ধারিত টাকা দেওয়া শেষ হলে, গ্রহক চুক্তি অনুযায়ী বোনাস পাবে। তবে এক্ষেত্রে সকল শর্ত সঠিক ভাবে পূরন করতে হবে।


    ৮) শিশু বীমার জন্য পিতা মাতার ঋন থাকা যাবে না।


    ৯) যখন গ্রাহক বীমা কোন কারনে না চালাতে পরে তবে, সে প্রিমিয়াম ৫ বহন করতে হবে। অথবা কোম্পানির শর্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।


    ১০) শিশুর বীমার জন্য শিশুর কোন মেডিকেল রিপোর্ট লাগবে না। শুধু শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকলেই হবে। বীমা করার পর থেকে শিশুর সম্পূর্ণ কভারেজ বীমা কোম্পানি প্রদান করবে।

    Post a Comment

    0 Comments